Test newa
প্রবাসীদের সুবিধা দিয়ে ব্যাগেজ রুলস সংশোধন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার এনবিআরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিদ্যমান ব্যাগেজ রুলস আরও কার্যকর ও যাত্রীবান্ধব করার উদ্দেশ্যে বিগত ২ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নতুন ব্যাগেজ রুলস (অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫) জারি করে, যা ২ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশীজন এবং মাঠ পর্যায়ের দফতরগুলোর মতামত বিবেচনায় নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাগেজ সুবিধা বাড়ানোসহ কতিপয় বিষয় সংশোধন করা হয়েছে।
সবশেষ সংশোধনসহ সার্বিক বিবেচনায় নতুন ব্যাগেজ রুলসের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো হলো-
বিদ্যমান ব্যবস্থায় শুল্ক পরিশোধ করে একজন যাত্রী একটি নতুন মোবাইল ফোন আনতে পারেন। পরিবর্তিত ব্যবস্থায় একজন ভ্রমণকারী যাত্রী শুল্ক পরিশোধ না করে প্রতি বছরে একবার একটি নতুন মোবাইল ফোন আনতে পারবেন।
তবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ইস্যুকৃত বিএমউটি কার্ডধারী এবং ন্যূনতম ৬ মাস বিদেশে অবস্থান করেছেন এমন প্রবাসী বাংলাদেশি কোনো শুল্ক-কর না দিয়ে বছরে দুটি নতুন মোবাইল ফোন আনতে পারবেন।
নতুন ব্যবস্থায়, কোনোরকম শুল্ক-কর পরিশোধ না করে একজন যাত্রী কোনো পঞ্জিকা বছরে একবার ভ্রমণে অথবা কয়েকবার ভ্রমণে সর্বমোট ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার বা ২০০ শত গ্রাম ওজনের রৌপ্যের অলংকার আনতে পারবেন।
নতুন ব্যবস্থায়, তোলা প্রতি ৫ হাজার টাকা শুল্ক-কর পরিশোধ করে একজন যাত্রী কোনো পঞ্জিকা বছরে একবার ১০ তোলা ওজনের একটি স্বর্ণবার আনতে পারবেন।
বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রী অনলাইনে ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম জমা করতে পারবেন। তবে ব্যাগেজ সুবিধার অপব্যবহার রোধকল্পে কাস্টমস হল বা কাস্টমস এলাকা ত্যাগ করার আগেই ব্যাগেজ ঘোষণা প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এসব পরিবর্তন ছাড়া ব্যাগেজ রুল সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে বলেও জানিয়েছে এনবিআর।
রেফারেন্স যুগান্তর ০২/০৬/২০২৫
Test newa
মালয়েশিয়ায় থাকা কাগজপত্রবিহীন কর্মীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া ও চাইলে নিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার পদ্ধতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যৌথ কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি কোম্পানি পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন।
বিষয়টি নিয়ে বৈঠক শেষে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিন বলেন, ‘বিদেশি কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানোর সময় নিয়োগকর্তাদের এখন উপস্থিত থাকতে হবে। নিয়োগকর্তাদের যে কোনো অবহেলা বা ব্যর্থতার কারণে কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি নতুন করে কোটা আবেদনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে।’
এ ছাড়া ওই বৈঠকে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয় নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে কোন প্রক্রিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ করা হবে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছু এখনো খোলাসা করেনি মালয়েশিয়া সরকার।
এদিকে সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়া মালয়েশিয়ায় আসার জন্য কারও সঙ্গে লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছেন দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা প্রবাসীরা।
রেফারেন্স:০৮ মে ২০২৫ কালবেলা অনলাইন
যুক্তরাজ্যে অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার নতুন ভিসা ও অভিবাসন নীতি ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১২ মে) ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ''পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের 'ওপেন বর্ডার এক্সপেরিমেন্ট'-এর অবসান ঘটানো হবে এবং ব্রিটেনের সীমান্তের ওপর 'আবার নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনা হবে', যা এক সময়ের প্রখ্যাত ব্রেক্সিট স্লোগানের প্রতিধ্বনি। ''
স্টারমার বলেন, 'আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম অভিবাসনে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনবো এবং তা কমাবো। আজ সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি
নতুন নীতির আওতায়, যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হলে এখন থেকে অভিবাসীদের ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঁচ বছরের পর স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের জুন মাসে অভিবাসী সংখ্যা রেকর্ড ৯০৬,০০০-এ পৌঁছেছিল এবং গত বছর তা ছিল ৭২৮,০০০।
মূল প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে বসতি স্থাপন এবং নাগরিকত্বের জন্য বসবাসের প্রয়োজনীয়তা পাঁচ বছর থেকে দশ বছর পর্যন্ত বাড়ানো।
প্রাপ্তবয়স্কদের উপর নির্ভরশীলদের জন্য ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তা কঠোর করা। এবং কাজ, পরিবার ও লেখাপড়ার ভিসার নিয়মগুলি পুনর্গঠন করা।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানান, নতুন নীতি 'একটি মৌলিক সংস্কার প্যাকেজ' যা মূলত নিম্ন-দক্ষ অভিবাসী ও বিদেশি অপরাধীদের প্রবেশে বাধা হবে। চলতি বছরে ৫০ হাজার নিম্ন-দক্ষ শ্রমিকের ভিসা কমানো হবে এবং দক্ষ শ্রমিক ভিসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিকে বাধ্যতামূলক করা হবে।
তবে, উচ্চ-দক্ষ পেশাজীবী যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী ও এআই বিশেষজ্ঞদের জন্য দ্রুত ভিসা সুবিধা দেওয়া হবে।
২০২৩ সালে ছোট নৌকায় ফ্রান্স থেকে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছে ৩৬,৮০০ জন। এ সময় ৮৪ জনের মৃত্যু ঘটে, যার মধ্যে অন্তত ১৪ জন শিশু ছিল। সরকার এই ধরনের অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
স্টারমার সরকার দাবি করেছে, গত জুলাই থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ২৪,০০০ জন অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রেফারেন্স: ১২ মে ২০২৫, বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য আবারও ভিজিট ভিসা (ভ্রমণ ভিসা) চালু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। রোববার (৪ মে) বাংলাদেশে নিয়োজিত দেশটির রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আলহামুদি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা জানান।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আলহামুদি বলেন, দুই দেশের মধ্যে টানা কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু পুনরায় শুরুর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এসেছে। ঢাকায় তাদের দূতাবাস বর্তমানে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে।
ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলগুলোর জন্য দলভিত্তিক (বাল্ক) ভিসা-প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফলে দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক বিনিময় বাড়ছে।
আলহামুদি জানান, আরব আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইনভিত্তিক এমপ্লয়মেন্ট ভিসা ব্যবস্থা পুনরায় চালু করেছে। মার্কেটিং ম্যানেজার ও হোটেল কর্মীদের মতো পেশাজীবীদের ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
এ সময় বৈঠকে রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের সঙ্গে লুৎফে সিদ্দিকীর সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন।
এ সময় লুৎফে সিদ্দিকী ভিসা প্রক্রিয়ায় অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আলহামুদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, ৫০০ নিরাপত্তাকর্মীর ভিসা এরই মধ্যে ইস্যু হয়েছে এবং আরও ১০০০ ভিসা অনুমোদিত হয়ে শিগগিরই ইস্যু করা হবে।
বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এরই মধ্যে দুই পক্ষ টার্মস অব রেফারেন্সে সম্মত হয়েছে।
বৈঠক শেষে জানা যায়, বাংলাদেশ-আরব আমিরাতের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে চলতি মাসের শেষ দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিসভার একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসবে।
রেফারেন্স: ৪ মে ২৫ কালবেলা